আবহমান বাংলার সংস্কৃতি ছিলো মেঝেতে বসে খাওয়া। হালে পাশ্চাত্য জীবনাচারে অভ্যস্ত হয়ে আমরা হারিয়ে ফেলছি আমাদের নিজস্ব ঐতিহ্য। এক জরিপ মতে, পশ্চিমা বিশ্বের ৭০ শতাংশ মানুষ ওষুধের ওপর বেঁচে আছে। আমরাও দিন দিন ওষুধ নির্ভর জীবনের দিকেই ছুটছি। অথচ আমাদের সংস্কৃতি এমনভাবে সাজানো, যা রপ্ত করার মাঝেও রোগের নিরাময় রয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, চেয়ারে বসে খাওয়ার চেয়ে মেঝেতে বসে খাওয়ার অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। হার্ট ভালো থাকা থেকে শুরু করে মানসিক চাপ কমানো, জয়েন্টের ব্যথা, মেরুদন্ডের অসুখের মত কঠিন রোগও সেরে যায় শুধু মেঝেতে বসে খাবার খেলে।
১. মেঝেতে বসে খেলে এক পা অন্য পায়ের ওপর রেখে পদ্মসন ভঙ্গিতে বসা হয়। এতে অ্যাবডোমেনের মাসলে টান পড়ে। এর ফলে মানসিক চাপ দূর হয়। কাজে মনোযোগ বাড়ে।
২. হজমের সমস্যা দূর করার ভালো চিকিৎসা হলো মেঝেতে বসে খাওয়া। কেউ যখন মেঝেতে বসে খায়, তখন সে খাবার মুখে নেওয়া জন্য মাথা সামনে ঝুঁকিয়ে দেয় এবং খাবার মুখে নেওয়া শেষ হলে আবার পেছনে ঝুঁকে আসে। বারবার এমন করার ফলে হজম প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুত হয়।
৩. মেঝেতে বসে খেলে দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ভারসাম্য বজায় থাকে। এতে করে সহজেই পুরো দেহে রক্ত সঞ্চালন হতে পারে। ফলে হার্টের পরিশ্রম কম হয়, হার্ট ভালো থাকে।
৪. মেঝেতে বসার ফলে মেরুদন্ডের নিচের অংশে চাপ পড়ে। এতে করে শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি নিয়ন্ত্রিত থাকে।
৫. হাঁটু, পা, কোমরের জয়েন্টর ব্যথ্যা সারাতেও মেঝেতে বসে খাওয়ার অবদান আছে। মেঝেতে বসার জন্য হাঁটু ভাঁজ করতে হয়, পা নাড়াতে হয়, মাজার নড়াচড়া বাড়ে- এতে করে জয়েন্টের ব্যায়াম হয়, ফলে ব্যথা সেরে যায়।