সিরিয়ায় ইরানি ট্যাংকারের ওপর হামলার জন্যে সরাসরি ইসরায়েলকে দায়ী করেননি জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরি। তবে সিরিয়া থেকে আরব নিউজ এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে লেবাননের জলসীমা থেকে একটি ড্রোন ওই ট্যাংকারটির ওপর হামলা চালায়। আরটি
কিছু মিডিয়ার খবরে বলা হয় ওই হামলায় তিনজন নিহত হয়েছে। আবার কিছু মিডিয়া বলছে এ হামলায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। জাহাজটির সামান্য ক্ষতি হয়েছে।
গত কয়েক মাসে ইরান ও ইসরায়েলের জাহাজে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা থাকলেও কোনো পক্ষ এ হামলার দায় স্বীকার করেনি।
ইরানের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল বাকেরি বলেন, এসব অপকর্মের হোতাদের ব্যাপারে কিছু বলব না এবং এর পেছনে কারা জড়িত তাও ঘোষণা করব না। ইসরায়েল যদি তার অপকর্ম চালিয়ে যায় তাহলে ইরানের জবাব কি হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে জেনারেল বাকেরি বলেন, ইরানের সম্ভাব্য জবাব এখনই স্পষ্ট করা যাবে না তবে ইসরায়েলকে সহজে ছেড়ে দেয়া হবে না। তবে মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো সম্প্রতি যে তৎপরতা দেখিয়েছে এবং সামনের দিনগুলোতে যা করবে তাতে ইসরায়েলের শুভবুদ্ধির উদয় হবে।
বাকেরি বলেন ইসরায়েল ধরে নিয়েছিল তারা স্থায়ীভাবে সিরিয়ার ভূমিতে হামলার পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে ও সাগরে নিজেদের কুকর্ম চালিয়ে যাবে এবং এর কোনো জবাব পাবে না।
শনিবার গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে প্রায় ৪০টি রকেট নিক্ষেপ করেন। এসব রকেট একের পর এক আঘাত হানার ফলে গোটা ইসরায়েল জুড়ে সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে ওঠে এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।